কমলের একাত্তর
বাবু ফরিদী
দেশে অসহযোগ আন্দোলন চলছে।
একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের
কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে এ আন্দোলন। ৯ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে, আজ চব্বিশ। অবসানেরও
কোন লক্ষণ নেই। যেমন সরকারী দল, তেমনি বিরোধীরা। কেউ ছাড় দিতে
চায় না। ঠিক যেন ‘তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার সোনার
হরিণ চাই’! সোনার হরিণ। লক্ষ্য ঐ একটাই-- গদী। দেশের জনগণকে
জিম্মি করে-– নাহ্, আর ভালো লাগেনা কিছুই। পুরো দেশটাই অচল হয়ে পড়েছে। দ্রব্যমূল্য
বাড়ছে সাপের গতিতে। কেনই বা হবে না? বাস-ট্রাক বন্ধ, মিল-ফ্যাক্টরি
বন্ধ, অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা, কোর্ট-কাচারি, স্কুল-কলেজ বলতে গেলে সব কিছুই যেন থেমে
আছে। কোনো লক্ষণও নেই সুরাহা হবার। এভাবে আর কদিন চলবে ?
এ রকম আর একবার এদেশে অসহযোগ আন্দোলন হয়েছিল একাত্তরে,
ডাক দিয়েছিলেন স্বয়ং শেখ মুজিব। ন’মাস তার ভয়াবহতা চলেছে। তখন বিদেশীদের
সাথে এদেশীয়দের অসহযোগ, আর নেতা ছিলেন শেখ মুজিব-- সম্মোহনী শক্তিসম্পন্ন নেতা। সেদিনকার
অসহযোগের পরিণতিতে দেশ স্বাধীন হলো। তারপর আমরা বাঙালিরা ক্ষমতায় এলাম। বিদেশীরা
এদেশ থেকে বিতাড়িত হলো। তখন থেকেই চলছে ক্ষমতার লড়াই। দেশের বয়স
এখন পঁচিশ। সোমত্ত যুবক বয়স। সামনে আর
ক’দিন পরেই হবে স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী উৎসব।এর মধ্যেও যদি মীমাংসা না হয়, তাহলে তো উৎসবটাই মাটি হয়ে যাবে!
সবাই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় কাটাচ্ছে দিন। এ অবস্থায়
না ইচ্ছে করে বাইরে যেতে, না ইচ্ছে করে ঘরে বসে থাকতে। রাতে সবারই
আশা জাগে, আজ বোধ হয় কিছু একটা হবে। ছুটে যায় বিবিসিতে, নিস্ফল হয়ে ফিরে আসে ঘরে। ছটফটিয়ে কাটে রাত। সেই লঙ্কাও নেই, নেই সেই রাবণও।
বিছানায় গা এলিয়ে এমন অনেক কথাই ভাবলো কমল। ও এখন চল্লিশোর্ধ
যুবক। ৭১ এর অসহযোগের সময়, ও ছিল ষোল বছরের কিশোর। স্বাধীনতার
স্বাদ ওর ঘরে আসেনি। ঐ ৯ মাসের বিষাদ এখনও ওর ঘর থেকে যায়নি। তাই ষোল বছর
যত দেরীতে কেটেছে, পরবর্তী পঁচিশ বছর কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি যাচ্ছে। কিছুটা ভয়-ভয়, কিছুটা
আশা-আশা রোমাঞ্চ নিয়ে কাটছে দিন-মাস-বছর। এভাবে পঁ-চি-শ ব-ছ-র! মনে হয়, এইতো সেদিনের
ঘটনা।
ভাবনার মাঝে এপাশ-ওপাশ করতে করতে কমলের হাতে
ঠেকল একটা বই। কল্যাণ চক্রবর্তীর ‘সুবর্ণ দ্বীপ’। কমল হাতে
তুললো সেটা, চোখে একশ পাওয়ারের চশমাটা এঁটে বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টাতে থাকলো।
ভদ্রলোক অনেকদিন হলো বইটি প্রেজেন্ট করেছেন। কিন্তু তা
আর নেড়ে-চেড়ে দেখা হয়নি। এ নিয়ে মনে একটা অপরাধবোধ জেগে উঠে। তাই সময়টাকে
কাজে লাগাতে প্রয়াসী হয় ও।
নাড়াচাড়া করতে করতে একটি স্থানে এসে দৃষ্টিটা
বিধে যায়। পড়তে ইচ্ছে হয় কয়েকটা লাইন। এগুতে থাকে
ক্রমেই--
> শোন তবে সেই যুদ্ধের
ইতিহাস। ধর্মের দোহাই দিয়ে গুরুদাস তার দলবল নিয়ে আমাদের
উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ঐ বিদেশীদের পিছু পিছু। এ পাণ্ডুলিপিতে যেভাবে আছে, তা এই রকমঃ
গুরুদাস ওদের দেশের রাজার
কাছে গিয়ে বলল, প্রণাম হই মহারাজ।
> কে গুরুদাস ?
> আজ্ঞে মহারাজ।
> বল, কী খবর এনেছ
?
> আপনার লোকজন ঐ সুবর্ণসখার
লোকদেরকে তো ঠিকমতো প্যাঁদানি দিতে পারতাছে না মহারাজ।
> আমার দেশে আইন আছে
। ওরা আইনের
লোক । ইচ্ছে করলেই তো ওরা যা খুশি তাই করতে পারে
না।
> মহারাজ, অধম পদধূলির
তুল্য। যদি অভয় দেন, তো একটা কথা কইতাম।
> বল, কী বলতে চাও।
> দেশটাতো আপনার,
ঠিক কইছি না মহারাজ?
> হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। কেন, তোমার
কোনো সন্দেহ হয়?
> আপনার দেশের হতচ্ছারা
ঐ বজ্জাতটাকে তো আপনি ভালোভাবেই চেনেন। হারামজাদা কেবল স্বাধীন হইবার চায়। আপনি তারে
ধইরা আনছেন, তা শুনছি। তয় এখনো চেঙ্গি ধোলাই দিতাছেন না কেন বুঝবার
পারতাছি না।
> ঐ হারামজাদাটাকে
যে করেই হোক আমি ফাঁসিতে ঝুলাবই ঝুলাব।
> অত কষ্টের কাম কি
মহারাজ? আমারে দেন আমি কাম ফতে কইরা দিই।
> সে হয় না। দেশে জানাজানি
হয়েছে। প্রজারা ক্ষিপ্ত হয়ে যাবে। আর যাহোক,
তার এলাকার সাপোর্ট তো তার পেছনে আছে। ওদের দেশ হাতে রাখতে হলে তো জনগণের সাপোর্ট
দরকার।
> হে কথা ঠিক। বিচ্ছুগুলাইন
হের কথামতো যুদ্ধ শুরু কইরা দিছে। এহোন কন আমার লোক দিয়া আমি আপনার কি উপকার
করতে পারি।
> তোমার পেছনে তো
কোন পাবলিক সাপোর্ট নাই গুরুদাস। তোমাকে ওখানের কেউ চায় না। তুমি আমার
কি করবে? বরং নিজের উপকার নিজেই কর গিয়ে। খামাখা সময় নষ্ট করো নাতো! আমি খুব চিন্তায়
আছি।
> আপনে শুধু অস্ত্র
দেন, আমি দেখাইয়া দিমু সাপোর্ট কিভাবে আদায় করতে হয়। পাবলিক ট্যাঁর
পাইব গুরুদাস কী চীজ্!
> অস্ত্র দিতে পারি। আমার দেশে
অস্ত্রের কোনো অভাব নেই। এজন্যেই আমার খাদ্যমন্ত্রীর সাথে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
সর্বদা দ্বন্দ্ব। প্রতিরক্ষামন্ত্রীই শেষমেশ জয়ী হয়। অস্ত্র আসে। দেশে খাবার
ঘাটতি থাকতে পারে, কিন্তু অস্ত্রের ঘাটতি থাকা চলবে না।
> এই একখান কাজের
কথা মহারাজ। না খাইয়া মানুষ মরেনা। ইচ্ছা করলে
কিছু না খাইয়া সত্তর দিনও বাঁচন যায়, কিন্তু অস্ত্র না থাকলে তো শত্রুর ধমকে একদিনও
টেকন যাইবো না!
> তুমি ঠিকই বলছো গুরুদাস।
> মহারাজ না খাইয়া
মানুষ মরলেও কোন আফসোস্ নাই। আপনে সৈন্যগো ছাইড়া দিবেন, হেরা এক রাতেই সব
মাইয়াগো গাভিন কইরা তবে ফিরবো। সৈন্যগো যে ক্ষ্যামতা তা কি ওদের মর্দগো আছে?
শুধু দশ মাস পাহারা দিয়া রাখবেন, যাতে নষ্ট না কইরা ফেলায়।
> বল কি, যুদ্ধ করে
দশমাস ওদের দিয়ে ঐ মেয়েদেরকে পাহারায় রাখবো?
> মহারাজ ক্ষ্যমা
করবেন। ওদের পাহারায় রাখোনের দরকার কি? আপনি সব হাসপাতাল
আর ক্লিনিকের ডাক্তার আর নার্সদের মাইরা ফেলানোর হুকুম দিলেই সব মীমাংসা। গর্ভনাশও
হইল না, যুদ্ধও থামব না।
> তুমি তো বেশ বুদ্ধিমান
হে!
> তা আপনার বিবেচনা
মহারাজ।
> এখন বল, আর কী
কী বুদ্ধি নিয়ে তুমি এ পৃথিবীতে বেঁচে আছ।
> মহারাজ, ভগবান এ
অধমকে কি দেয় নাই কন। আপনে যুদ্ধ জয় করতে চান কিনা হেইডা কন।
> তুমি কি ছেলেমানুষের
মত কথা বলছ গুরুদাস?
> আপনে যদি সত্যিই
যুদ্ধ জয় করতে চান তবে আপনার বাহিনীর বাইরেও আর একটা বাহিনী তৈয়ার করতে হইব। মহারাজ দেশী-বিদেশী
ভেদাভেদ তো চোখেই ধরা পড়ে। আপনার লোকজন ইচ্ছে করলেও সবকিছু পারবো না, ওখানকার লোকেরা ধরে ফেলবো। আপনার উচিত
হইব ওখানকার লোকদের নিয়ে একটা বাহিনী তৈয়ার করা, যারা আপনার লোকদের যেমন হগোল খবর আইনা
দিবো, আবার ঐ হারামজাদার দলের লোকদের খুঁইজা
খুঁইজা পাঠাবলির মতো বলি দিবো।
> আমার দলে ওখানকার
লোক কোথায় পাব গুরুদাস? আমি যে ভোটের ব্যবস্থা করেছিলাম, তাতে সবাই তো সুবর্ণসখাকে
ভোট দিলো!
> মহারাজ, ওখানকার
লোকগুলো হচ্ছে অত্যন্ত হুজুগে। তখন হুজুগে সুবর্ণসখাকে মাথায় নিয়ে নাচাইছে,
এখন আপনি কইলে এই অধম গুরুদাসকেও মাথায় তুইলা নাচবো।
> আচ্ছা, তুমি কি
চাও?
> আমি আপনার সব কিছু
আগের মতো আপনার থাউক, হেইডাই চাই।
> আমিও তো চাই, কিন্তু
বিচ্ছুরা যে জ্বালাতন করছে, তাতে মনে হচ্ছে ওদেশ আমাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে।
> আপনে ভয় পাবেন না
মহারাজ। আপনি আশীর্বাদ রাখুন, আমি দুমাসের মধ্যে সব
ঠিক কইরা দিমু। এমন ক্যাচকা মাইর দিমু, যেন আর এজন্মের মধ্যে
কখনও ভুলেও স্বাধীনতার কথা মুখে না আনে। বাড়ি-ঘর জ্বালাইয়া শ্যাষ কইরা দিমু। আপনার লোকদের
কিছু করতে হইবো না।
> ওরা বাসায় বইসা
শুধু ওখানকার মাইয়াগো মাই চোষবো।
> এ কী কথা বল গুরুদাস!
> ওরা বউ বাচ্চা ফ্যালাইয়া
অনেক দিন ওখানে আছে। ধর্মে আছে না, ছয় মাস বউয়ের সাথে না থাকলে
বউ ছাড়াছাড়ি হইয়া যায়? আঃ ওদের কত কষ্ট, কতদিন বউয়ের সাথে ঘুমাইতে পারে না! কিছু ভাববেন
না মহারাজ, আমার লোকেরা সব মাইয়াগো ধইরা লইয়া ওদের কাছে পুঁছাইয়া দিবো। আমাগো দেশের
পুরুষ গুলাইন গায় জোরে কম। পোলাপাইন হয় এটু এটু। আপনার জুয়ানমর্দেরা
কাম দিতে পারলে ভগবানের আশীর্বাদে কার্তিকের লাহান পোলা হইব। দেশটার চেহারাই
বদলাইয়া যাইব।
> বাহ, কী মজার কথা
গুরুদাস! এ কথা তো আমি কোনদিন ভাবিনি! তাহলে তো অনেক আগ থেকেই এ কাজটা শুরু করতে পারতাম।
> আপনে পাপের কথা
ভাবছেন? ওতে পাপের কিছু নাই। পুরুষরা তো বিচ্ছুর দলে ভিড়ে কোথায় কোথায় আছে
খবর নাই। মাইয়ারাও জানে ওগো স্বামীরা আর ফিরবেনা। আমার লোকেরা
কি আর তাগো আস্তা রাখবো ভাবছেন? সব বলি দিয়া দিবো না? স্বামীই যদি না থাকে, তাইলে মাইয়া
মানুষরা বাড়িতে বইয়া কি আইসক্রিম চুষবো?
> ঠিক আছে, আমি স্বরাষ্ট্র
দপ্তরে বলে দিচ্ছি, তোমার যা লাগবে তা তোমাকে দিয়ে দিবে। তুমি তৈরি
হও।
> মহারাজ...
> কি, কিছু বলবে?
> আমার কথা কি কিছু
ভাবছেন?
> কি তোমার কথা, বল?
> আমার লোকরাই তো
আপনার রাজ্যের দখল ফিরাইয়া আনবে। রাজ্য তো আপনারই থাকবে, আমাকে ওখানকার তালুকদারিটা...
> ঠিক আছে, ঠিক আছে। ও আর এমন
কি! তুমি চাও তো তার চেয়েও বড় কিছু দিতে পারি।
> সে মহারাজের কৃপা।
> দেখো, দেশ যেন হাতছাড়া
না হয়।
> তা আর বলতে হয়?
> যাও কথা না বলে
কাজে লেগে যাও। প্রয়োজনে দেশটাকে পুড়িয়ে লাল মাটি বানিয়ে দেবে। আমার দেশ
দরকার। মাটি আর মানুষের কী দশা হয়, তা নিয়ে ভাববার
সময় নেই।
#
আমি বললাম, সবিতা,
গুরুদাস এর পরে কি অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সুবর্ণসখার দলে ভিড়ে গেলো, নাকি ঐ মহারাজের
দলেই কাজ করেছে?
না শুভ। সে নিমকহারাম নয়। বিদেশীদের নিমকের বড় বেশী দাম দিয়েছে সে। গুরুদাস একটা দল বানাল। নাম দিল ‘গুরুসেনা’। গুরুসেনারা কাউকে চাকরির লোভ দেখিয়ে আবার
কাউকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদেরকে যা খুশি করার ক্ষমতা দিয়ে দিয়েছিল। বিদেশীদের বিরুদ্ধে যেমন বিচ্ছুরা সরাসরি
যুদ্ধ করতে পারতো, গুরুসেনা থাকায় ওদের নিয়ে হলো মহাবিপদ। চেহারা এক হওয়ায় কেউ কেউ সুবর্ণসখার দলের
বিচ্ছু ভেবে কাছে এসে মার খেয়েছে। এদের অত্যাচার এত তীব্র হয়েছিল যে, মহিলা-পুরুষ সব পালিয়ে পালিয়ে দিন
কাটাত। মেয়েদের পেলেই ধরে
নিয়ে ওদের হাতে তুলে দিত, আর বিদেশীরা যুদ্ধ ছেড়ে মেয়ে মানুষের শরীর নিয়ে মেতে
থাকত। অবশ্য বিচ্ছুরা এ
সুযোগও কাজে লাগিয়ে ধীরে ধীরে ওদের কাবু করে ফেলেছিল।
যুদ্ধে যখন বিদেশীরা
পরাজিত হলো, তখন গুরুদাসের কি হলো?
গুরুদাস পালিয়ে
মহারাজের কাছে আশ্রয় নিয়েছিল আর অন্যরা দেশের মাঝেই কোন আত্মীয়-স্বজনের কাছে গিয়ে
গোপনে প্রাণ বাঁচাল।
সুবর্ণসখা যখন দেশে ফিরলেন তখন আর কোন বিচার-আচারের ঝামেলায় যেতে চাননি। এত রক্ত গেছে, আরও রক্ত যাক তিনি চাননি।
ফলে সবাই নির্বিচারে ক্ষমা পেয়ে গেছে। অবশ্য এ যুদ্ধে সুবর্ণসখার কোন আপনজন মারা যায়নি বলে তাঁর পক্ষে এতটা
উদার হওয়া সম্ভব ছিল।
বল কি, এত অত্যাচার
করার পরও ক্ষমা!
তিনি তো আর যুদ্ধ
দেখেন নি, তিনি দেখেছেন তাঁর মৃত্যুর আয়োজন। বিচার করে তাঁকে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কার্যকর করার আগেই
বিদেশীরা পরাস্ত হলো। একজন
লোক ফাঁসির কাষ্ঠ থেকে ফিরে এসে কি আর একজনকে ফাঁসিতে ঝুলাতে পারে?
সে কথা ঠিকই বলেছ। মৃত্যু যে কত ভয়ঙ্কর, তা একমাত্র সেই
বুঝে যে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছে।
এখন কি হয়েছে জানো?
ঐ গুরুদাস আবার দেশে এসেছে। তার পুরানো চেলাচামুণ্ডাদের নিয়ে আবার দল করেছে। ঐ দলে গুরুসেনারা এখন বড় বড় পদ পেয়েছে। তাদের দলের কাজ হচ্ছে ঐ সময় যারা বিচ্ছু
ছিল তাদের হাত পায়ের রগ কাটা।
বল কি? নতুন রাজা
কিছু বলেন না?
নতুন রাজার মাথায় লবণ
রেখে তারা এখন কাঁচা আম খাচ্ছে!
এর পরিনাম অবশ্যই
ভয়াবহ।
সে কথাইতো বলছিলাম। ঠিক আছে তুমি বসো। আমি দেখে আসি মেয়েটার কি অবস্থা।
ঠিক আছে।
সবিতা চলে গেলে, আমি
সবিস্ময়ে ওর গল্পের কথা ভাবতে লাগলাম।
কমলও ভাবনায় পড়ে যায়। এমন গল্পের সাথে মিলে যায় এমন সত্যি
কাহিনীর সাথে নিজের জীবনের একটি বাস্তব মুহূর্তের সুত্র হাতড়ে ফেরে একাত্তর -- ‘কমলের একাত্তর’।
(চলবে)
No comments:
Post a Comment